EC MEETING MINUTES_09 SEPTEMBER, 2022
এ্যাকাউন্টিং এ্যালামনাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৪-৯৫ এর বোর্ডের সভা বোর্ডের সভার কার্যবিবরণী ঃ-
এ্যাকাউন্টিং এ্যালামনাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৪-৯৫ এর এক্সিকিউটিভ কমিটি ২০২২-২০২৩ এর প্রথম সভা গত ০৯-০৯-২০২২ তারিখ, রোজ শুক্রবার, বিকাল ৪:৩০ এ পানশী চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার, হাউজ নং-১০, ধানমন্ডি, ঢাকাতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব রহিমা আক্তার শিল্পী এর আহবানে কার্যকরী কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জনাব মিজানুর রহমান, এফ.সি.এ.। সভায় নিম্নোক্ত সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন (উল্লেখ্য, মীর আবু জাহিদ শামছুদ্দীন সাগর, কবিরুজ্জামান লাবু ও মোহাম্মদ মোমেন ভারচুয়ালি সভায় অংশগ্রহণ করেন)ঃ
০১. মিজানুর রহমান, এফ.সি.এ. সভাপতি
০২. রহিমা আক্তার শিল্পী সাধারণ সম্পাদক
০৩. মোঃ আবু সাঈদ মোল্লাহ সহ-সভাপতি
০৪. মোঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ যুগ্ন সম্পাদক
০৫. মোহাম্মদ সারোয়ার হোসাইন সাংগঠনিক সম্পাদক
০৬. ইলিয়াস মুন্সি অর্থ সম্পাদক
০৭. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
০৮. নেয়ামুল হোসাইন দপ্তর সম্পাদক
০৯. শাহ-সুলতান চৌধুরী শাহান শাহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক
১০. মোঃ কবিরুজ্জামান লাবু সমাজ কল্যাণ সম্পাদক
১১. মোহাম্মদ মোমেন আন্তর্জাতিক সম্পাদক
১২. মোঃ জুয়েল মিয়া কার্যকরী সদস্য
১৩. মোঃ সোলায়মান হোসেন কার্যকরী সদস্য
১৪. মোঃ মনিরুজ্জামান কার্যকরী সদস্য
১৫. মোহাম্মদ মনির হোসেন কার্যকরী সদস্য
১৬. মীর আবু জাহিদ শামছুদ্দীন সাগর উপদেষ্টা
১৭. ওমর ফারুর মোল্লাহ খোকন উপদেষ্টা
১৮. মোঃ আব্দুল্লাহ ইমরান কার্য উপদেষ্টা
১৯. মোঃ মনিরুল ইসলাম সবুজ উপদেষ্টা
সভাপতির স্বাগত ভাষণঃ
সংগঠনের মাননীয় সভাপতি জনাব মিজানুর রহমান, এফ.সি.এ. উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার কার্য বিবরণী শুরু করেন। তিনি জানান ইতিমধ্যে আমাদের সংগঠনের অনেক বন্ধুরা মৃত্যুবরণ করেছেন এবং অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশেষ করে আমাদের প্রিয় বন্ধু নাজমুল গতবছরের গেট টুগেদারে আমাদের সাথে অংশগ্রহণ করেছিলেন, সদা হাস্যজ্জল প্রাণবন্ত বন্ধু আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক বিষয়। আমাদের প্রিয় বন্ধু শরীফ ও মুশফিক অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়াও আমাদের সাবেক সভাপতি জনাব মীর আবু জাহিদ শামছুদ্দীন সাগর জটিল রোগে ভুগছেন এবং কয়েক মাস যাবৎ ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এমতাবস্থায়, আমাদের যে সকল বন্ধুরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং যে সকল বন্ধুরা অসুস্থ্য তাদের সুস্থ্যতা কামনা করেন। সভাপতি তার স্বাগতিক ভাষণে বলেন, “এখানে আমরা সবাই বন্ধু, কেউ আমরা নেতা হতে এখানে আসিনি। আমরা সকলেই সমান; এই মন মানসিকতা নিয়ে আমরা আমাদের প্রাণের সংগঠনটিকে আরো উন্নতির চরম শিখরে নিতে চাই।” তিনি সংগঠনের সকল বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা করেন।
এর পর নিয়ম অনুযায়ী তিনি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব রহিমা আক্তার শিল্পীকে সভার কার্যসূচী অনুযায়ী সভার কার্য শুরু করার জন্য আহবান করেন।
সভার আলোচ্যসূচী অনুমোদন ঃ
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব রহিমা আক্তার শিল্পী; সভাপতি সহ সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে পূর্বোক্ত কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেন।
সিদ্ধান্তঃ সকলের অনুমতিক্রমে পূর্বোক্ত কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়।
সাধারণ সম্পাদক নিয়ম অনুযায়ী নিম্নোক্ত আলোচ্যসূচী আলোচনাপূর্বক অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেন -
০১। বার্ষিক গেট টুগেদার আয়োজন;
০২। গেট টুগেদার এর তারিখ নির্ধারণ;
০৩। গেট টুগেদার এর ভেন্যু নির্বাচন;
০৪। গেট টুগেদার এর চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ;
০৫। বিবিধ।
সিদ্ধান্তঃ সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিতে আলোচ্যসূচী নিম্নোক্তভাবে অনুমোদন করা হয়।
০১। ২০২২ সালের বার্ষিক গেট টুগেদার আয়োজন করা ঃ
প্রথমেই জনাব রহিমা আক্তার শিল্পী সবাইকে গেট টুগেদার এর বিষয়ে মতামত জানতে চান। এতে আলোচনায় অংশ নিয়ে সংগঠনের সহ-সভাপতি জনাব মোঃ আবু সাইদ মোল্লাহ ঢাকার বাহিরে গেট টুগেদার আয়োজন করার জন্য প্রস্তাব করেন। অনেকেই ঢাকার বাহিরে প্রোগ্রাম করলে খরচ অনেক বেশী হবে এবং সময়ও বেশী প্রয়োজন হবে বলে মত প্রকাশ করেন। সে ক্ষেত্রে সবাই অংশগ্রহণ করতে চাইবে না। তাই ঢাকার মধ্যে গেট টুগেদার আয়োজনের বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেন।
সিদ্ধান্তঃ সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিতে ঢাকার মধ্যে ২০২২ সালের গেট টুগেদার আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
০২। গেট টুগেদার এর তারিখ নির্ধারণ ঃ
জনাব রহিমা আক্তার শিল্পী সবাইকে গেট টুগেদার এর তারিখ নির্ধারণের জন্য মতামত জানতে চান। এতে আলোচনায় অংশ নিয়ে সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ জানান বিগত বছরের সাধারণ সভায় একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ শুক্রবার বার্ষিক গেট টুগেদার আয়োজন করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন বিগত ২বছরও অক্টোবর মাসের শেষ শুক্রবারই গেট টুগেদার আয়োজন করা হয়েছিলো, তাই এ বছরও অক্টোবর মাসের ২১ তারিখ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে গেট টুগেদার আয়োজন করা হোক। তার এ প্রস্তাবে অক্টোবর মাসের ২১ তারিখ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে গেট টুগেদার বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেন।
সিদ্ধান্তঃ সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিতে ২১ শে অক্টোবর থেকে ২৮ শে অক্টোবর ২০২২ এর মধ্যে গেট টুগেদার ২০২২, সকাল ৯:৩০ থেকে বিকাল ৫:০০ টা পর্যন্ত আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
০৩। গেট টুগেদার এর ভেন্যু নির্বাচন;
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গেট টুগেদার এর ভেন্যু নির্বাচনের জন্য সকলের মতামত আহবান করেন। এ পর্যায়ে অনেকেই আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করলে মাননীয় সভাপতি ভেন্যু নির্বাচনের জন্য একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করেন এবং উক্ত কমিটি বিভিন্ন ভেন্যু ভিজিট করে আগামী ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে একটি সুন্দর ভেন্যু নির্বাচনের জন্য প্রস্তাব করেন। তার প্রস্তাবের ভিত্তিতে নি¤েœাক্ত সদস্য নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়-
০১. জনাব ওমর ফারুক মোল্লাহ খোকন
০২. জনাব আবু সাইদ মোল্লাহ
০৩. জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ
০৪. জনাব ইলিয়াস মুন্সি
০৫. জনাব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন
০৬. জনাব মনিরুজ্জামান সবুজ
সিদ্ধান্তঃ সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিতে আগামী ২১ শে অক্টোবর ২০২২ থেকে ২৮শে অক্টোবর ২০২২ এর মধ্যে গেট টুগেদার আয়োজনের লক্ষ্যে ভেন্যু নির্বাচনের জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গ্রহণ করা হয় এবং উক্ত কমিটি আগামী ১৮/০৯/২০২২ তারিখের মধ্যে ভেন্যু নির্বাচন করবেন।
০৪। গেট টুগেদার এর চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ;
জনাব রহিমা আক্তার শিল্পী জানান বিগত ২ বছর আমাদের গেট টুগেদার এর চাঁদার পরিমাণ ছিলো ৫০০.০০ টাকা। এবছর চাঁদার পরিমাণ কতো করা যায় এ ব্যাপারে সকলের মতামত ব্যক্ত করার জন্য আহবান করেন। এ পর্যায়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে জনাব ওমর ফারুক মোল্লাহ জানান গত বছর গেট টুগেদারে আমাদের খরচ হয়েছিলো জনপ্রতি প্রায় ৮০০/- টাকা। এ বছর জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ইত্যাদি কারণে এবছর ১,০০০/- টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব করেন। জনাব আবু সাইদ মোল্লাহ আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বলেন, বিগত বছরে ফি ছিলো ৫০০/- টাকা, হঠাৎ করে দ্বিগুণ অর্থাৎ ১০০০ টাকা করা হলে অনেকেই বিষয়টা অন্যভাবে নিতে পারে। তাই রেজিস্ট্রেশন ফি ৮০০/- টাকা করা উচিৎ। এছাড়া জনাব ইলিয়াস মুন্সি ৭০০/- টাকা প্রস্তাব করেন। এমতাবস্থায় সভাপতি জনাব মিজানুর রহমান, এফ.সি.এ. উপস্থিত সকলের কণ্ঠ ভোট গ্রহণ করেন। উক্ত কণ্ঠ ভোটে প্রায় সকলেই ৮০০/- টাকা করার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন এবং এ ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করেন।
সিদ্ধান্তঃ সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিতে আগামী গেট টুগেদার ২০২২, আয়োজনের জন্য বন্ধুদের রেজিস্ট্রেশন বাবদ ৮০০/- টাকা নির্ধারণ করা হয়।
০৫। বিবিধ;
সভাপতির অনুমোদনক্রমে বিবিধ বিষয়ে আলোচনার মধ্যে প্রথমে জনাব শাহান শাহ গেট টুগেদার এ লাঞ ও নামাজের পরে ছোট পরিসরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। তার এ প্রস্তাবে জনাব মোঃ নেয়ামুল হোসাইন বলেন নাজ-গান বাদ দিয়ে আমরা বন্ধুরা পরিচয়পর্ব ও আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। এ ব্যাপারে কমিটির অন্যান্য সদস্যরা বলেন, যেহেতু প্রতিবছরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকে তাই এবছরও থাকবে। আমরা পারিবারিক-কর্মজীবনের একঘেয়েমি ও ব্যস্ততম সময়টাকে এড়িয়ে একদিনের জন্য বন্ধুদের সাথে আড্ডা ও আনন্দে মিলিত হতে চাই। এ জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রয়োজন আছে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে সবাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য একমত পোষণ করেন। সকলের সম্মতিতে সংগঠনের সভাপতি সাহেব, জনাব শাহ-সুলতান চৌধুরী শাহান-শাহ কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন।
এছাড়া গেট-টুগেদার ২০২২ এর মঞ্চ কেমন হবে, উক্ত মঞ্চে কে কে বসবে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং সবাই একমত পোষণ করেন যে, গেট-টুগেদার ২০২২ সহ পরবর্তী প্রোগ্রামে শুধু মাত্র এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য ও উপদেষ্টাবৃন্দের জন্য পদবী অনুযায়ী চেয়ার থাকবে এবং প্রত্যেকের সামনে নাম ও পদবী উল্লেখ সহ নেম প্লেট রাখা হবে।
এছাড়াও স্টেজ সাজানোর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। সকলের আলোচনার ভিত্তিতে ভেন্যু ঠিক করার পরে ভেন্যুর অবস্থা অনুযায়ী খুব সুন্দর করে স্টেজ সাজানোর দায়িত্ব পালন করবেন জনাব ওমর ফারুক মোল্লাহ খোকন।
সিদ্ধান্তঃ বিবিধ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে গেট টুগেদার ২০২২ এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ও মঞ্চ তৈরী করার দায়িত্ব দেয়া হয় যথাক্রমে জনাব শাহ-সুলতান চৌধুরী শাহান-শাহ ও জনাব ওমর ফারুক মোল্লাহ খোকন কে।
আর কোন আলোচনা না থাকায় সংগঠনের সভাপতি জনাব মিজানুর রহমান, এফ.সি.এ. সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
সভাপতি সাধারণ সম্পাদক
(মিজানুর রহমান, এফ.সি.এ.) (রহিমা আক্তার শিল্পী)